মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গোটা রাজ্যের সঙ্গে বর্ধমান শহরে প্রথম অনুষ্ঠিত হল দুর্গাপুজোর কার্নিভাল।কার্নিভালকে কেন্দ্র করে প্রবল উন্মাদনা দেখা যায় শহরে।রাজপথে একপ্রকার জনস্রোত নামে।কার্নিভালকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য জেলাপ্রশাসন,জেলাপুলিশ ও বর্ধমান পৌরসভার তরফে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হয়।উদ্যোগ নেওয়া হয় বিধায়ক খোকন দাসের পক্ষ থেকেও।এতকিছুর পরও কার্নিভালকে কেন্দ্র করে বিতর্ক পিছু ছাড়লো না।কার্নিভাল চলাকালীনই পৌরসভা ও পৌরকর্মীদের ধন্যবাদ না জানোনোই ক্ষোভ প্রকাশ করে মঞ্চ ত্যাগ করেন বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতি পরেশ চন্দ্র সরকার। মঞ্চ থেকে নেমে তিনি জানান,কার্নিভালকে সুষ্ঠভাবে করার জন্য পৌরসভা ও পৌরকর্মীরা গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন কিন্তু কার্নিভালের মূল মঞ্চ থেকে পৌরসভা বা পৌরকর্মীদের সম্মানজ্ঞাপন না করায় অপমানিতবোধ করেছি।এটা হওয়া উচিত ছিলো না।যদিও তার মঞ্চত্যাগের কারণ এটা নয় বলে জানান তিনি।কিন্তু কার্নিভাল চলাকালীন ক্ষোভ প্রকাশ করে পৌরপতির মঞ্চত্যাগ জেলাপ্রশাসনকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলে।
অন্যদিকে কার্নিভাল আয়োজনের মূল দায়িত্বে বিধায়ক খোকন দাস থাকলেও তার অত্যন্তঘনিষ্ঠ একপ্রকার ছায়াসঙ্গী সেখ নুরুল আলম (সাহেব)এর উদ্যোগে হওয়া বাজেপ্রতাপপুর ট্রাফিক কলোনীর পুজো ও জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রাসবিহারী হালদারের উদ্যোগে হওয়া তেলিপুকুর সুকান্ত স্মৃতি সংঘ পুজো কার্নিভালে অংশগ্রহণ না করায় শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।এবছর এই দুটো পুজো কমিটিই শহরবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলো।প্রতিদিনই হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমিয়েছিলো এই দুটি পুজো মন্ডপে।এমনকি বিশ্ববাংলা পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কারেও ভূষিত হয় দুটি পুজোই।তারপরেও এই দুটো পুজো কমিটি কার্নিভালে অংশ না নেওয়ায় একদিকে যেমন শুরু হয়েছে জল্পনা তেমনিই হতাশ কার্নিভাল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা।
এই বিষয়ে বিধায়ক খোকন দাস জানান,দুটি পুজোতেই উদ্বোধনের পর থেকে দর্শনার্থীদের যথেষ্ট চাপ ছিলো তাই প্রস্তুতি নেওয়ার সময় না পাওয়াতেই তারা অংশগ্রহণ করতে পারেনি।আগামীবছর প্রত্যেকেই অংশ নেবে বলে জানিয়েছে।
যদিও এই বিষয়ে রাসবিহারী হালদার ও সেখ নুরুল আলম কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি।