পরীক্ষাও হয়নি নির্দিষ্ট সময়ে। ফল বেরোতেও দেরি হচ্ছে। সোমবার দুপুরে এই অভিযোগ তুলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষা বিভাগের স্নাতকোত্তরস্তরের কয়েকজন পরীক্ষার্থী রাজবাটী প্রশাসনিক ভবনে পরীক্ষা-নিয়ামক দফতরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ, বিক্ষোভ চলাকালীন পরীক্ষা-নিয়ামক দফতরের দরজা বন্ধ করে দেওয়া নিয়ে কর্মীদের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পরীক্ষা নিয়ামক অনিন্দ্যজ্যোতি পাল বলেন, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরীক্ষার ফল বের করা হবে।“ নিয়ামক দফতরের দাবি, চলতি মাসের মধ্যেই দূরশিক্ষা বিভাগের স্নাতকোত্তরস্তরের (পার্ট টু) পরীক্ষার ফল বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১৯-২০২১ শিক্ষাবর্ষ পেরিয়ে গিয়ে গত ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে স্নাতকোত্তরের পার্ট টু পরীক্ষা হয়। তাড়াতাড়ি ফল না বেরনোয় অনেক পরীক্ষার্থী বি এড বা অন্য কোনও কোর্সে ভর্তি হলেও রেজিস্ট্রেশন হচ্ছে না। আবার অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্যে ‘মাইগ্রেশন’ সার্টিফিকেটও পাচ্ছেন না পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের একাংশ এ দিন বলেন, “পরীক্ষা নেওয়ার জন্যে আন্দোলন করতে হয়েছিল। এখন ফল বেরনোর জন্যে আন্দোলন করতে হচ্ছে। এতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম কতটা যে অক্ষুন্ন থাকছে কে জানে!”
এ দিন প্রথমে দূরশিক্ষা ভবনে যান পরীক্ষার্থী। আধিকারিকদের দেখা না পেয়ে পরীক্ষার্থীরা ক্ষোভ দেখায়। অভিযোগ, সেখান থেকে তাঁদের পরীক্ষা-নিয়ামক দফতরে যোগাযোগ করতে বলা হয়। বেলা একটা নাগাদ পরীক্ষার্থীরা রাজবাটী ক্যাম্পাসে আসেন। সে খবর পাওয়া মাত্রই পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের দরজা লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাতে পরীক্ষার্থীদের ক্ষোভের মাত্রা বাড়ে। পোস্টা-ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ চলাকালীন পরীক্ষা-নিয়ামক দফতরের কর্মীদের সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তিও হয় বলে অভিযোগ। বর্ধমান থানার পুলিশ এলে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পাঁচজনের একটি দল পরীক্ষা-নিয়ামকের সঙ্গে কথা বলেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, এক বছর ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পরীক্ষা নেওয়া আর ফল প্রকাশের জন্যে আরও এক বছর নষ্ট হলে তার দায় কে নেবে?
দূরশিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে থাকা সহকারী অধিকর্তা অংশুমান গোস্বামীর ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। পরীক্ষা নিয়ামক জানান, অতিমারির কারণে সময়ে পরীক্ষা নেওয়া যায়নি।