নিজস্ব ছন্দেই চলছিল প্রশাসনিক অনুষ্ঠান। কিন্তু তা যে মন্ত্রীর সঙ্গে জেলাশাসকের সম্মুখ সমরে পরিণত হবে তা আগাম আঁচ করতে পারেন নি কেউই। প্রথমে ধীর লয়েই ঠান্ডা লড়াই চলছিল।
শেষে তা একেবারে রাম রাবণের যুদ্ধে পরিণত হলো। আর সব শেষে লড়াইয়ে জিতলেন জেলা শাসক। পূর্ব বর্ধমানের বিডিএ হলে সেই লড়াইয়ের সাক্ষী থাকলেন উপস্থিত বাকিরা।
বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার সভাকক্ষে তখন উপস্থিত প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা, জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এই অনুষ্ঠানে সিতাভোগ,মিহিদানা ও বাংলার ডোকরার জি আই সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।এই জেলার আউশগ্রামের দ্বারিয়াপুরের ডোকরা শিল্প দেশ-বিদেশে বিশেষভাবে সমাদৃত। বাংলার ডোকরা দেড় বছর আগে জি আই পেয়েছে। এই অনুষ্ঠানে আসা ডোকরা শিল্পীরা তাদের শিল্পের কিছু নিদর্শন দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছিলেন। সেখানেই ছিল ডোকরার লাঠি। যে লাঠিতে খোদাই করা রয়েছে প্রতিটি রাশি। তেমনই ছিল দাবা। যেহেতু ডোকরা ধাতুর একটি বিশেষ রং রয়েছে দাবার কালো এবং সাদা গুটি তা দিয়ে করা সম্ভব নয়। তাই শিল্পী সুভাষ মন্ডল রাম এবং রাবণ সেনার আঙ্গিকে সেই দাবার গুঁটি তৈরি করেন।
দাবার বোর্ড সামনে আসতেই তা খেলার প্রস্তাব দেন জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা। প্রতিপক্ষ হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাপধিপতি শম্পা ধারাকে। শম্পাকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে আসেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। শেষে যুদ্ধটা শুরু হয়ে যায় মন্ত্রী এবং জেলাশাসকের মধ্যে। তবে মন্ত্রী কে বাগে আনতে বিশেষ সময় নিতে হয়নি জেলা শাসককে। মিনিট দশেকের মধ্যেই মন্ত্রীকে হারিয়ে কিস্তি মাত করেন জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা।
তবে খেলায় হারজিত যায় হোক না কেনো মন্ত্রী ও জেলাশাসকের শতরঞ্জের খেলার মজা উপভোগ করেন বৈঠকে যোগদানকারী সকলেই।