ভারতবর্ষে রেনেসাঁ শুরু হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকেই। একটা সময় বলা হত, বাংলা আজ যা ভাবে ভারতবর্ষ পরেরদিন তা ভাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সর্বভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাংলা কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়ছে। বাংলার আরও কিছু দেবার আছে। অল ইণ্ডিয়ায় পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্বকে আরও বাড়াতে হবে। আর সেটা সম্ভব হবে ভবিষ্যতের ছাত্রছাত্রীদের মাধ্যমেই। শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ এবং কারেণ্ট এফেয়ার্স রিভিউ আয়োজিত সিভিল সার্ভিস কোচিং সংক্রান্ত বিষয়ে সেমিনারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন রাজ্যের প্রাক্তন ডিজি সুরজিত কর পুরকায়স্থ। তিনি সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর সিভিল সার্ভিস স্টাডি সেণ্টারের চেয়ারম্যানও। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে গিয়ে সুরজিতবাবু বলেন, প্রশাসনিক সার্ভিস একটা আলাদা জগৎ। এখানে প্রতিদিনই নতুন নতুন পরিষেবা দেবার সুযোগ আছে। অনেকে বলেন, এই প্রশাসনিক কাজের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে, যার ফলে কাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি মনে করেন, এটা সম্পূর্ণ ভুল। মাথা উঁচু করে কাজ করতে হবে নিজেকে ঠিক রেখে। সবথেকে বেশি হতে পারে এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় বদলি করে দিতে পারে। সুরজিতবাবু বলেন, কর্পোরেট সেক্টরেও রাজনীতি রয়েছে। কিন্তু সেটা মালিকের রাজনীতি। কিন্তু এই সিভিল সার্ভিসে অনেক কাজ করার সুযোগ আছে মাথা উঁচু করে।বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে আয়োজিত এই শিবির এদিন বক্তব্য রাখেন কারেণ্ট এফেয়ার্স রিভিউ-এর অমিত বোস, আইআরএসের ডেপুটি কমিশনার ড. তানিসা দত্ত, জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা, জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য নিমাইচন্দ্র সাহা প্রমুখরাও।