বর্ধমান জেলা গত কয়েকদিনেই উদ্ধার হল ৫৩০ টি বোমা, ৪৯ টি বন্দুক ও ৮১ গুলি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৯ জনকে। আর লাগাতার বোমা, গুলি, বন্দুক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় তীব্র কটাক্ষ শুরু করে দিল বিজেপি। বিজেপির বর্ধমান সদর সাংগঠনিক জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র শনিবার জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরপরই যেভাবে এই জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা গুলি উদ্ধার করেছে তা হিমশৈলীর চূড়া মাত্র। তাঁর অভিযোগ, খোদ রাজ্যের শাসকদলের নেতাদের হেফাজতেই রয়েছে আরও ৯৯ শতাংশ বোমা, গুলি। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করার পাশাপাশি মৃত্যুঞ্জয়বাবু রাজ্যের শাসকদলের সমালোচনা করে জানিয়েছেন, যে পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে তাতে ছোটখাটো যুদ্ধ করা যাবে। তিনি জানিয়েছেন, কে বা কারা পুলিশকে খবর দিচ্ছে আর পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করছে। কিন্তু তারপর পুলিশের যা করণীয় তা এখনও দেখা যাচ্ছে না। কোথা থেকে এই সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র আসছে, বা কে রেখে যাচ্ছে সে ব্যাপারে তদন্তের অগ্রগতি নেই। এরই পাশাপাশি তিনি দাবী করেছেন, ৮০ শতাংশ তৃণমূল নেতার কাছেই বেআইনি অস্ত্র আছে,তা উদ্ধার করলে আগামী দিনে রামপুরহাট কান্ড হবে না সেটা নিশ্চিত হবে। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশ সচেতন থাকলে বোমা, বন্দুকের এই রমরমা হত না। এমনকি বিজেপি কর্মীরাও মারা যেত না। তিনি দাবী করেছেন, শুধু তৃণমূল নেতা নয়, কেন্দ্রীয় সংস্থা এসে যদি রাজ্যের থানাগুলিতে তদন্ত করে তাঁর ধারণা থানার ভিতর থেকেও বোমা ও বেআইনি অস্ত্র পাওয়া যাবে। যদিও এব্যাপারে তৃনমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিত দাস জানিয়েছেন, বিজেপির কথার কোনও ভিত্তি নেই। ভোটের আগে ওরাই দুষ্কৃতী, বোমা বন্দুক মজুত করেছিল। পুলিশ তাদের কাজ করছে।