বিতর্ক সরিয়ে আগামী ২৯ শে মার্চ মঙ্গলবার গঠিত হতে চলেছে কালনা পুরবোর্ড।
দলের পুরোনো সিদ্ধান্তকেই সিলমোহর দিয়ে ওইদিনই পৌরপতি হিসাবে আনন্দ দত্ত ও উপপৌরপতি হিসানে তপন পোড়েল শপথ নেবেন।সেই সঙ্গে তপন পোড়েলকে দল থেকে বহিস্কার করার সিদ্ধান্তও প্রত্যাহার করে নেওয়া হল বলে জানালেন পূর্ববর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার ১১. ৩০ মিনিট নাগাদ বর্ধমানের কালিবাজারে জেলার দলীয় কার্যালয়ে তপন পোড়েল,আনন্দ দত্তকে নিয়ে মিটিং করার পরই এই সিদ্ধান্তের কথা জানান রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৬ ই মার্চ কালনার পুরশ্রী হলে কালনা পৌরবোর্ড গঠন নিয়ে ধুন্ধুমার শুরু হয়।দল আনন্দ দত্তকে পৌরপতি ও তপন পোড়েলকে উপপৌরপতি বলে ঠিক করে দিলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলাররা তপন পোড়েলকেই পৌরপতি হিসাবে নির্বাচিত করে।এরপরই শুরু হয় বিতর্ক।ধুন্ধুমার কান্ড বাঁধে পুরশ্রী হলে। হলের দোতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন এক কাউন্সিলার।এরপরই আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই মর্মে জেলাপুলিশসুপারের কাছ থেকে এই রিপোর্ট পাওয়ার পর জেলাশাসক কালনা পৌরসভার বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া বাতিল করে দেন।
অন্যদিকে দলীয় নিয়ম না মানায় বহিস্কার করা হয় তপন পোড়েলকে।
এরপরই কলকাতার নেতাজী ইন্ডোরে দলের ১৭ জন কাউন্সিলারকে ডেকে পাঠিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী তথা জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক অরুপ বিশ্বাস।সেদিনই কাউন্সিলাররা মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চায়।ক্ষমা চেয়ে চিঠি দেন তপন পোড়েল ও।।
তারপরই আজ দলীয় বৈঠকে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।