অতিরিক্ত বালি বোঝাই বা ‘ওভারলোডিং’ গাড়ি ধরতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন পরিবহণ দফতরের কর্মীরা। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে বাদশাহী রোডের উপর মঙ্গলকোটের বটতলায়। খবর পেয়ে মঙ্গলকোট থানা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। অতিরিক্ত বালি নিয়ে যাওয়ার জন্যে পুলিশ মামলাও রুজু করেছে। পরিবহন দফতরের আঞ্চলিক দফতরের আধিকারিক বা আরটিও (বর্ধমান) অনুপম চক্রবর্তীর দাবি, “মঙ্গলকোটের ঘটনায় দু’জন কর্মী ও দু’জন চালক জখম হয়েছেন। বর্ধমান মেডিক্যালে তাঁদের চিকিৎসা করানো হয়েছে। রাতের দিকে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগের চিঠি পাঠানো হয়েছে।“
পরিবহন দফতরের দাবি, এ দিন ভোরে বাদশাহী রোড দিয়ে ‘ওভারলোডিং’ ট্রাক যাচ্ছে খবর আসে। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে কর্মরত কর্মীরা বাদশাহী রোডের মঙ্গলকোটের বটতলায় কয়েকটি ট্রাক আটকে পরীক্ষা করছিলেন। সেই সময় তাঁদের উপর ট্রাকের লোকজন-সহ বেশ কয়েকজন হামলা চালায়। তাতে দু’জন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের গাড়ির চালকদেরও মারধর করা হয়। খবর পেয়ে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ পরিবহণ দফতরের একটি গাড়ি ও চালককে উদ্ধার করে। বালি বোঝাই একটি ট্রাকও আটক করে।
মঙ্গলকোট থানা সূত্রে জানা যায়, পুলিশকে না জানিয়েই পরিবহন দফতর ওই অভিযোন করছিল। চার-পাঁচটি ট্রাককে তাড়া করলে ট্রাকগুলি মঙ্গলকোট গ্রামের দিকে ঢুকে পড়ে। সেখানে আটকে পরিবহন দফতরের কর্মীরা গাড়ি পরীক্ষা করতে শুরু করে। দু’একজন গাড়ির উপরেও উঠে পড়ে। তখনই কয়েকজনের সঙ্গে ‘হাতাহাতি’ হয় পরিবহন দফতরের কর্মীরা। তখন তাঁরা নিজেদের গাড়ি ছেড়ে বাসে করে ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। ততক্ষণে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পরিবহণ দফতরের গাড়ি উদ্ধার করে ও বালি বোঝাই ট্রাকটিকে আটক করে মঙ্গলকোট থানায় নিয়ে আসে।
আরটিও-র দাবি, লোহার রড, স্টিক, পাথর দিয়ে কর্মীদের আঘাত করা হয়েছে। দু’টি বালি বোঝাই ট্রাকের নম্বর ধরে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি বলেন, “পুলিশ খুব দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে। হঠাৎ করে অভিযানে যাওয়ার জন্যে পুলিশকে জানানোর সময় পাওয়া যায়নি। তবে এই ঘটনা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।“