বর্ধমান জেলা জুড়ে আইসিডিএসের খাবার নিয়ে প্রায়শই বিভিন্ন অভিযোগে রাশ টানল জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি জেলার জামালপুর থানা এলাকার দুটি আইসিডিএস সেণ্টারের খাবারে মরা টিকটিকি এবং মরা সাপ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। রায়না ২নং ব্লকেও সম্প্রতি একই ঘটনা ঘটে। জেলা জুড়ে বিভিন্ন আইসিডিএস সেণ্টারের এই ঘটনা কিভাবে ঘটছে তার তদন্তে নামে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, তদন্তে উঠে আসে সব ক্ষেত্রেই বাড়িতে নিয়ে যাবার পর খাবারে মিলেছে এই সমস্ত অবাঞ্ছিত বস্তু। সেক্ষেত্রে যিনি সেণ্টার থেকে খাবার নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর কোনো অসাবধানতা থাকছে কিনা কিংবা বাড়িতে নিয়ে যাবার পর সেখানে কোনো অসাবধানতা বশত এই ধরণের ঘটনা ঘটছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। স্বাভাবিকভাবেই শিশু ও প্রসূতিদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবার নিয়ে এই ধরণের অভিযোগ উঠতে থাকায় প্রশাসনকে নানান বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। আর এই ধরণের অভিযোগে এবার লাগাম টানার উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন।
জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা জানিয়েছেন, তাঁরা জেলার সমস্ত আইসিডিএস সেণ্টারগুলিতে প্রতিদিনের রেজিষ্টার তৈরী করতে বলেছেন। সেই রেজিষ্টারে যিনি খাবার নিয়ে যাচ্ছেন তাঁর স্বাক্ষর থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি খাবারের মান যাচাই করে নিয়ে তবেই তা বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবেন বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এই ধরণের অভিযোগ ওঠার সম্ভাবনাও কমবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন।
উল্লেখ্য, করোনাকালে এই সমস্ত সেণ্টারগুলি থেকে উপভোক্তাদের শুকনো খাবার দেবার সময় এই রেজিষ্টার চালু করা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রান্না করা খাবারে অবাঞ্ছিত বস্তুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ানোর জন্য ফের রান্না করা খাবারেও শুক্রবার থেকে চালু হল এই নতুন নিয়ম।
জেলা আইসিডিএস প্রকল্পাধিকারিক পাপিয়া হালদার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুক্রবার থেকেই জেলার সমস্ত আইসিডিএস সেণ্টারে এই নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকেই তা চালু হয়েছে।