কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন কালনার সতেরো জন তৃণমূল কাউন্সিলর। তাদের ডেকে পাঠিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব। পুর প্রধান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সমস্যা সমাধানের জন্যই কাউন্সিলরদের তলব করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দুই দলে ভাগ হয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন কাউন্সিলররা। তপন পোড়েল সহ তের জন একটি বড় গাড়িতে আগেই রওনা দেন। পরে অন্য একটি গাড়িতে রওনা দেন আনন্দ দত্ত সহ চারজন।
দলের সিদ্ধান্ত সব কাউন্সিলরকে মেনে নিতে হবে বলে তাদের কাছ থেকে সম্মতি আদায় করে নেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্ব আনন্দ দত্তকে চেয়ারম্যান ও তপন পোড়েলকে ভাইস চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। 15 মার্চ বর্ধমানে সাংবাদিক বৈঠকে সেকথা ঘোষনা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তবে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি তপন পোড়েলের অনুগামী কাউন্সিলররা। সেই বৈঠকে আনন্দ তথ্য সহ 5 জন কাউন্সিলর উপস্থিত থাকলেও বাকি 12 জন অনুপস্থিত ছিলেন।
পরের দিন কালনার পুরশ্রী মঞ্চে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পর পুর প্রধান নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেখানে দলের নির্দেশ অমান্য করে সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা তপন পোড়েলকে পৌর প্রধান হিসেবে নির্বাচন করেন। এই ঘটনাকে ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। পুর প্রধান কে শপথ গ্রহণ না করিয়ে সভাকক্ষ ছাড়েন মহকুমা শাসক। আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কায় পুর প্রধান নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করেন জেলাশাসক। দল বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে তপন পোড়েলকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী তথা পূর্ব বর্ধমান জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক অরূপ বিশ্বাস।