বছর খানেক আগে দলের ব্লক সভাপতি মারা গেলে বর্ধমান ২ নং ব্লকের নতুন করে ব্লক সভাপতির দায়িত্ব কারওর হাতে তুলে দেয়নি দল। এরই মধ্যে ‘বর্ধমান উত্তর বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসে’র নাম করে বর্ধমান ২ ব্লকে একের পর এক কর্মী সম্মেলন করে অঞ্চল কমিটি ঘোষণা কে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বর্ধমান উত্তর বিধানসভার বিধায়ক নীশিথ মালিক বিধানসভা এলাকায় নিজেকে দলের ‘চেয়ারম্যান’ ঘোষণা করে প্যাড ছাপিয়ে কমিটির পদাধিকারীদের নাম লিখিতভাবে ঘোষণা করছে বলে অভিযোগ।
বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বপ্রাপ্তরা এই নিয়ে সরব হয়েছেন এমনকি তাঁরা দলের জেলা সভাপতির কাছেও ফোনে মৌখিক অভিযোগ জানিয়েছেন।
যদিও ওই সব অভিযোগ উড়িয়ে বিধায়ক নীশিথ মালিকের পাল্টা প্রশ্ন, ‘বর্ধমান উত্তর বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসে’র চেয়ারম্যান হিসেবে সংগঠনের জন্যে কমিটি কী গঠন করতে পারি না?পূর্ববর্ধমান জেলা তৃৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, ব্লকের সভাপতি ছাড়া এ ভাবে কমিটি করা যায় না।
দলীয়সূত্রে জানা গেছে, বর্ধমান ২ ব্লকের ৯ টি আর বর্ধমান ১ ব্লকের ৭ টি পঞ্চায়েত নিয়ে বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত। বর্ধমান ১ ব্লকে ব্লক সভাপতি থাকলেও বর্ধমান ২ ব্লকের সভাপতি শ্যামল দত্ত বছর খানেক আগে মারা গিয়েছেন। সেখানে এখনও কোনও নতুন ব্লক সভাপতিকে দল দায়িত্ব দেয়নি। এরমধ্যে বেশ কিছু দিন ধরে ‘বর্ধমান উত্তর বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসে’র নাম করে বর্ধমান ২ ব্লকে বৈকুণ্ঠপুর ১, বৈকুণ্ঠপুর ২, বড়শুল ১ ও ২ অঞ্চলে সম্মেলন করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ অম্বিকা দাসের অভিযোগ, “ব্লক সভাপতি নেই। এ ভাবে একজন বিধায়ক কী ভাবে অঞ্চলে অঞ্চলে গিয়ে কমিটি গঠন করতে পারে? এ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। দলের নির্দেশে কী আদৌ এই কমিটি গঠন হচ্ছে, সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। আমরা মৌখিকভাবে দলের জেলা সভাপতি, জেলার নেতা বাগবুল ইসলামের কাছে অভিযোগ করেছি”৷। যদিও নিশীথের দাবি, “ব্লক সভাপতি বা ব্লক কমিটি দীর্ঘদিন নেই। আমি দলের চেয়ারম্যান। অঞ্চলগুলিতেও সভাপতি নেই। পঞ্চায়েত ভোট আসতে বছর খানেকও দেরি নেই। সংগঠনকে ধরে রাখার জন্যে বিধায়ক ও চেয়ারম্যান হিসেবে কমিটিগুলি গঠন করা হচ্ছে।“ জেলা সভাপতি বলেন, “ব্লক সভাপতির বাইরে অন্য কেউ অঞ্চল কমিটি করতে পারে না। কেউ করে থাকলে খোঁজ নিয়ে দেখব।”