স্ত্রীর সরকারী চাকরী পছন্দ নয়,ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী’র হাতের কব্জি কেটে নিলো স্বামী।আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী ভর্তি দুর্গাপুরের বেসরকারী হাসপাতালে,স্বামী পলাতক।
পূর্ববর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার কোজলসা গ্রামের ঘটনা।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে,গৃহবধূ একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করছিলেন। এখন তিনি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই তার নার্স পদে সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা। কিন্তু ‘বেকার’ স্বামীর ধারণা হয়েছিলো চাকরি করতে গেলে স্ত্রী তার ‘হাতছাড়া’ হয়ে যাবে। এজন্য ওই চাকরিতে ঘোরতর আপত্তি জানিয়ে আসছিলো স্বামী।
কিন্তু স্ত্রী তা মানতে পারছিলেন না। স্বামীর আপত্তি না মানায় পরিনতি হল ভয়াবহ। স্ত্রী যাতে আর কোনওদিন চাকরিই না করতে পারেন তার জন্য তার হাতের কব্জি কেটে নিল স্বামী। নৃশংস এই ঘটনায় স্তম্ভিত পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রাম। গুরুতর জখম অবস্থায় স্ত্রী রেনু খাতুন’কে ভর্তি করা হয়েছে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত স্বামী শের মহম্মদ ওরফে সরিফুল শেখ ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
কেতুগ্রামের কোজলসা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি রেণু খাতুনের। তার বাপেরবাড়ি কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামে।২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে কোজলসা গ্রামের বাসিন্দা শের মহম্মদ শেখ ওরফে সরিফুলের সঙ্গে রেণুর বিয়ে হয়।
রেণু খাতুনের দাদা রিপন শেখ জানান পড়াশোনা করার সময়েই তার বোনের সঙ্গে সরিফুলের পরিচয় ছিল। পরে বিয়ে হয়। যদিও দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তার পর উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয় রেণু ও সরিফুলের। রেনুর বাবা আজিজুল হক জানান মেয়ের বিয়েতে তিনি নগদ এক লক্ষ টাকা, ৮ ভরি গহনা, একটি স্কুটি ও আনুষাঙ্গিক আরও কিছু জিনিস যৌতুক হিসাবে দিয়েছিলেন।
রেণু নার্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তারপর দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সপদে চাকরি করছিলেন। এরপর সরকারি চাকরিতে পরীক্ষা দিয়েও উত্তীর্ণ হন। কয়েকদিন আগেই চুড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়ে প্যানেলভুক্ত হয়ে যান।এরমধ্যেই এইরকম একটি মর্মান্তিক পরিণতি।