মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো কয়েকদিন আগেই নতুন উদ্যমে পথ চলা শুরু করেছে বর্ধমানের মিষ্টিহাব।ইতিমধ্যেই মিষ্টিহাবকে চাঙ্গা করতে নতুন করে মিষ্টিহাবকে কেন্দ্র করে নানান উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।যার নবতম সংযোজন মিষ্টিহাব ডেডিকেটেড প্যাকেট বা মোড়ক।
এই প্যাকেট বা মোড়কে একদিকে যেমন ব্যবহার করা হয়েছে বর্ধমানের ঐতিহাসিক কার্জনগেটের ছবি সেই রকমই প্যাকেটের মাধ্যমে মিষ্টিহাবের ব্যপক প্রচার ও প্রসারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্ববাংলা লোগো।ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে ব্যপক সাড়া মিলতে শুরু করেছে এই বিশেষ প্যাকেটকে ঘিরে।
জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা জানিয়েছেন,মিষ্টিহাব সম্পর্কে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে ও মিষ্টিহাবের ব্যপক প্রচার ও প্রসারের লক্ষেই এই বিশেষ ধরনের প্যাকেটের ভাবনা গ্রহন করা হয়েছে,যার ফলও মিলতে শুরু করেছে।পাশাপাশি আরও একাধিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।
জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের সমস্ত মিটিং-এর টিফিন আসবে মিষ্টি হাব থেকেই।পাশাপাশি মিষ্টিহাবে স্টপেজ দেবে সমস্ত সরকারী বাস।
জেলাপ্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নানা দিক থেকে মিষ্টি হাবকে চালু করার উদ্যোগ নিলেও তা কার্যকর হয়নি। এবার জেলা প্রশাসন সরাসরি এগিয়ে এল। নতুন এই মিষ্টির প্যাকেটেই জেলা প্রশাসনের সমস্ত মিটিং-এর টিফিন সরবরাহ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে দোকানগুলি খুলেছে – তাঁরাই আপাতত বরাত পাবেন এই টিফিনের।জেলা প্রশাসনের প্রায় প্রতি সপ্তাহেই এক বা একাধিক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেজন্য টিফিনেরও অর্ডার দেওয়া হয়। জানা গেছে, পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত টিফিনের রেট রয়েছে ৬০ ও ৮০ টাকা। মিষ্টি হাব থেকেই এই টিফিন নেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই সরকারী সমস্ত দপ্তরকে চিঠি করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কোন স্থানে প্রশাসনের মিটিং হচ্ছে তার ওপর নির্ভর করে টিফিনের মাথা পিছু সংখ্যা। সেক্ষেত্রে ডিএম কনফারেন্স রুম, বিডিএ সভাঘর, সংস্কৃতি লোকমঞ্চের মূল মঞ্চ, এ্যানেক্স এবং মেট্রোতে কোনো মিটিং হলে টিফিনের মাথাপিছু সংখ্যার তারতম্য ঘটে। যেমন সংস্কৃতি লোকমঞ্চের মূল মঞ্চে কোনো মিটিং ডাকা হলে সেখানে টিফিনের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে, আবার বিডিএ সভাঘরে হলে তা ১০০ জনের অর্ডার দেওয়া হয়।
এদিকে, মিষ্টি হাবকে চাঙ্গা করতে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগে আশার আলো দেখছেন মিষ্টি হাবের দোকানদাররা। তাঁরা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা ভাল, কিন্তু ধারাবাহিকতা না থাকলে সমস্যা থেকেই যাবে। দোকানদাররা জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের মিটিং কোনো মাসে ১০টাও হতে পারে আবার কোনো মাসে একটি বা দুটি হতে পারে। সেক্ষেত্রে তাঁদের ওই মিটিং-এর ওপর ভরসা করে কিভাবে সারা মাসের ব্যবসা করা যাবে তা নিয়েই তাঁরা চিন্তিত।
যদিও জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই প্যাকেটে থাকছে বর্ধমানের ঐতিহ্যস্মারক কার্জন গেটের ছবি। লেখা থাকছে মিষ্টি হাব। প্রশাসনিক মিটিংই শুধু নয়, মিষ্টি হাব থেকে যে যাই কিনুন এই প্যাকেটেই তাঁকে তা সরবরাহ করা হবে। এর মাধ্যমে প্রচারও হবে মিষ্টি হাবের।