পরবর্তী সময়ে বেশি দাম মিলবে এই আশায় দক্ষিণবঙ্গের কৃষকরা আলু বিক্রি না করে তা হিমঘরে মজুত করছেন। বর্তমানে সাতশো থেকে সাড়ে সাতশো টাকা বস্তাপ্রতি আলুর দাম পাচ্ছেন চাষীরা। কিন্তু এই দামে তাঁরা আলু বিক্রি করতে নারাজ। অক্টোবর নভেম্বর মাস নাগাদ দাম কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে – এই আশায় আলু ধরে রাখছেন কৃষকদের অনেকেই।
তবে এবার আলুর আকার অনেক ছোট হওয়ায় উৎপাদন কম। কৃষকরা বলছেন, এবার পাঞ্জাব থেকে সেভাবে আলুর বীজ আসেনি। অল্প যা-কিছু এসেছিল তা খুব চড়া দামে কিনতে হয়েছিল চাষিদের। অতিবৃষ্টিতে সেই আলু বীজ পচে যায়। ফের চড়া দামে বীজ কিনে চাষ করার আর্থিক ক্ষমতা হারিয়েছিলেন কৃষকদের অনেকেই। তাই কম দামে স্থানীয় বীজ কিনে চাষ করেছিলেন তাঁরা।
চাষিরা বলছেন, মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই আলু তুলে ফেলতে হচ্ছে। এতো কম সময়ে আলু আকারে বাড়বে না এমনটাই স্বাভাবিক ছিল। সেটাই হচ্ছে। অনেকেই আলু তোলার কাজ শেষ করে এনেছেন। তাঁরা বলছেন, এমনিতেই আগামী বছরের বীজের জন্য উৎপাদিত আলুর একটা অংশ হিমঘরে পাঠান কৃষকরা। এবার উৎপাদন কম। তাই দাম বাড়ার আশায় অনেক চাষি আলু মজুত রাখতে চাইছেন।