তোর্সা মিত্র:বগটুই কাণ্ডের পর রাজ্যের জেলায় জেলায় বোমা বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা হিমশৈলের চূড়া মাত্র বলেই মনে করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। বাসিন্দারাও বলছেন এখনও অনেক গ্রামের আনাচে-কানাচে অনেক বোমা বন্দুক মজুত রয়েছে। সেসব উদ্ধারের জন্য পুলিশকে ধারাবাহিকভাবে অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।
রামপুরহাট কাণ্ডের পর বগটুই গ্রামে গিয়ে রাজ্যজুড়ে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যজুড়ে অপরাধপ্রবণতা কমানোর জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। তারপর গত এক সপ্তাহে রাজ্যজুড়ে প্রচুর সংখ্যক বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। শুধু পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই গত এক সপ্তাহে সাড়ে চারশোটি বোমা ও 45 টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বেআইনিভাবে বোমা ও অস্ত্র মজুদ রাখার অভিযোগে এই জেলায় মোট 46 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একইভাবে মালদা মুর্শিদাবাদ হুগলি, নদীয়া সহ বেশির ভাগ জেলা থেকেই বোমা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, যে সংখ্যক বোমা বা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে মজুত রয়েছে তার অনেক গুণ বেশি। বীরভূমের নানুর,বাসাপাড়া ও তার আশপাশ এলাকা, পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, কেতুগ্রাম গলসি, মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন গ্রামে সারা বছরই বোমা সঙ্গে এরকম ঘর করতে হয় বাসিন্দাদের। সেই সব এলাকার শান্তিপ্রিয় বাসিন্দারা বলছেন, বোমা আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার অভিযান খুবই দরকার ছিল। কিন্তু আশঙ্কা রয়েছে তার ধারাবাহিকতা নিয়ে। পুলিশের সক্রিয়তায় কমলেই এইসব কারবারে যুক্তরা ফের তৎপর হয়ে উঠবে। বিশেষত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আগ্নেয়াস্ত্র বোমা মজুত করা হবে। তাই যেসব বোমা বন্দুক এখনও মজুত রয়েছে সেসব উদ্ধারের পাশাপাশি ভবিষ্যতের যাতে আর এইসব কারবার দুষ্কৃতীরা চালাতে না পারে সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।