গোটা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ায় এবং আগামী ২৮ ও ২৯ মার্চ দেশব্যাপী ধর্মঘটের সমর্থনে মঙ্গলবার বর্ধমানে বামপন্থীদের আইন অমান্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিল।বর্ধমান ষ্টেশন থেকে বামপন্থী গণসংগঠনগুলির মিলিত মিছিল কার্জন গেটের সামনে আসতেই শুরু হয় তীব্র উত্তেজনা। বামপন্থীরা রীতিমত দৌড়ে এসে পুলিশের পরপর ব্যারিকেডগুলিকে ভাঙতে শুরু করে। কার্জন গেটের সামনে প্রথমে দড়ির ব্যারিকেড এবং তারপর আরও দুটি ব্যারিকেড ভেঙে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। এদিন মিছিলের নেতৃত্ব দেন সিপিএমের রাজ্য কৃষকসভার সম্পাদক অমল হালদার। উপস্থিত ছিলেন জেলা নেতৃবৃন্দরাও। এদিন ষ্টেশন থেকে বামপন্থীদের মিছিলের সামনে ছিল রামপুরহাটে নৃশংস্য গণহত্যার বিরদ্ধে ব্যানার। গোটা দেশ জুড়ে দশ দফা দাবীতে দুদিন ব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হলেও পশ্চিমবঙ্গে এই দাবীগুলির সঙ্গে আরও ২ দফা দাবী যুক্ত করা হয়েছে। দেউমা পাঁচামি কয়লাখনি প্রকল্প ছাড়াও আমতার আনিস খুনের প্রতিবাদ যুক্ত হয়েছে। এদিকে, এদিন দুপুর থেকে বামপন্থীদের এই মিছিলকে ঘিরে রীতিমত দুর্গের চেহারা নেয় কার্জন গেটের সামনে থেকে কোর্ট চত্বর। মোতায়েন করা হয় শতাধিক পুলিশ বাহিনীকে। মজুদ রাখা হয় জলকামানকেও। দীর্ঘদিন পর জেলা পুলিশের এই সাজো সাজো রব সাধারণ মানুষের মধ্যেও তীব্র কৌতূহলের সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে দীর্ঘদিন পর বামপন্থীরাও খোলস ছেড়ে এই ধরণের আন্দোলনে নামায় খুশী বামপন্থী কর্মীরাও। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, যেহেতু এদিনই সকাল থেকে রামপুরহাটের ঘটনায় গোটা রাজ্য জুড়েই একটা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তাই ওই ঘটনার জেরে বর্ধমানেও যাতে কোনোরকম অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি না হয়, সেজন্যই এই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কেবলমাত্র পুলিশই নয়, এদিন কয়েকস্তরে মোতায়েন করা হয় সিভিক ভলেণ্টিয়ারদেরও। অন্যান্য থানা এলাকা থেকে নিয়ে আসা হয় সিভিক ভলেণ্টিয়ারদের। এদিন ব্যারিকেড ভাঙায় গ্রেপ্তার করা হয় আন্দোলনকারীদের। যদিও কিছুক্ষণ পরই তাঁদের নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়া হয়। এদিন অমল হালদার জানান, গোটা দেশে আইন শৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। কেউই সুরক্ষিত নন। তাই দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এই সরকারকে উত্খাত করতে সকলের উচিত এই আন্দোলনে সামিল হওয়া।