হেডলাইনস্ বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান, ২০ এপ্রিল – যে মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক চাষীদের জমি কেড়ে নেওয়া নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন। এমনকি সরকারে বসে তিনিই ঘোষণা করেছিলেন জোর করে কারও জমি কেড়ে নেওয়া হবে না। তাহলে দেউচা পাঁচামিতে কেন জোর করে আদিবাসীদের জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে? বুধবার পাঁচামি যাবার আগে একথা জানিয়ে গেলেন বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি এদিন সাফ জানিয়ে গেলেন, তাঁরা এর বিরোধিতা করবেনই। অন্যদিকে, এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন আগে বাস ভাড়া করে তৃণমূলের লোকেরা দেউচা পাঁচামি আদিবাসী লোকদের যাদের জমি জোর করে নেওয়া হচ্ছিল, তাদের ভয় দেখাতে গিয়েছিল। আদিবাসীরা ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। তাই বিধানসভার বিরোধী দলনেতার নেতৃত্ত্বে বিজেপির বিধায়ক দল সেখানে গিয়ে আদিবাসীদের সাথে কথা বলে কিভাবে সমস্যার নিরূপন করে সহমতের ভিত্তিতে কিভাবে শিল্প করা সম্ভব তা জানতেই বুধবার সেখানে বিজেপির বিধায়করা যান। উল্লেখ্য, এদিন বীরভূম যাবার আগে সুকান্তবাবু সিঙ্গুরে যান। সে প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, শিল্প সম্মেলনে তাঁরা কোন নিমন্ত্রণ পাননি। তিনি বলেন, সিঙ্গুরে গিয়ে দেখলেন, শিল্পের কি ভবিষ্যৎ। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার বেকার যুবকের ভবিষ্যতে লাথি মেরেছেন। হাজার হাজার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানকে নষ্ট করে দিয়েছেন। সেই সিঙ্গুরকে একবার দেখে আগামী দিনে কিভাবে শিল্পায়ন হবে তার শপথ নেওয়ার জন্য তিনি সিঙ্গুরে গিয়েছিলেন। অন্যদিকে, এদিন ময়ূরাক্ষীতে নিহত বিজেপি পরিবারের পাশে সুকান্ত মজুমদার যেতে চাইলেও ওই পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো রাজনৈতিক নেতাদের তাঁরা চাননা বলায় সুকান্তবাবু জানিয়েছেন, ওই পরিবারের লোককে অনেকভাবে ভয় দেখানো হয়েছে। তাঁরা জানেন ওই পরিবার বিজেপি সমর্থক। হয়তো পরিবার ভয় পেয়েছে। পরিবারের সাথে দেখা করার চেষ্টা করবেন।পরিবার যদি অনুমতি দেয় তবে দেখা করব নচেৎ দেখা করবেন না। এরই পাশাপাশি এদিন শিল্প সম্মেলনে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করা সম্পর্কে সুকান্তবাবু বলেন, শিল্প আনার জন্য এই কথা বলা দরকার। রাজ্যপালের ভাষণ তিনি শোননি। তবে বাস্তব কথা। তাঁর মনে হয় রাজ্যপালের ভাষণে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে যে উদ্বেগ সেটা থাকা উচিত। তিনি বলেন, রাজ্যপালের কাজ এটা বলা, তাই উনি বলেছেন। শিল্প সম্মেলনে গিয়ে উনি তো বলতে পারেন না যে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ভায়োলেন্স করছেন। রাজ্যের কানকাটা যাবে। মানব সম্পদে সত্যিই বাংলা এগিয়ে আছে। তার বড় প্রমাণ অন্য রাজ্যে বিশেষত আই টি সেক্টরে কর্মরতদের মধ্যে ৩০-৪০
শতাংশই বাঙালি।