চৈত্র সেল এখন বঙ্গ জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দোল পূর্ণিমা শেষ হলেই জমে ওঠে সেলের বাজার। চলবে চৈত্র মাসের সংক্রান্তি পর্যন্ত। পোশাক-আশাক তো বটেই, দরজা জানালার পর্দা থেকে জুতো – সেল সবেরই। এই সেলের বাজারে বিক্রিবাটাও হয় ভালোই। সমাজের সব শ্রেনীর বাসিন্দারাই সেলের বাজারে কমবেশি কেনাকাটা করেন।
এখন প্রশ্ন হলো, এই যে সেলের সামগ্রী তাতে গুণমান বজায় থাকে কতটা? এই সময় তুলনামূলক অনেক কম দামে পুরুষ ও মহিলাদের নানান পোশাক সেলের বাজারে কেনাবেচা হয়। তা কতটা টেকসই হবে সেই প্রশ্ন মনে রেখেই কেনাকাটা সাড়েন অনেকেই। বিক্রেতারা অবশ্য বলছেন, সেলের তুলনামূলক কম দামের পোশাক মানেই যে তা গুণগতভাবে খারাপ এমনটা মনে করার কোনও কারন নাই। কারণ, একসঙ্গে প্রচুর উৎপাদনের কারণেই কিছুটা কম দামে এই সব সামগ্রী বিক্রি করা সম্ভব হয়। সেলের জন্য আলাদাভাবে তৈরি করা হয় সেগুলি। আবার অনেক নামি পণ্য সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সময় মজুদ সামগ্রী কিছুটা কম দামে বিক্রি করে স্টক ক্লিয়ার করা হয়। তবে তার সঙ্গে গুণগত দিকের কোনও আপস করা হয় না। বরং নামী সংস্থাগুলি গুণগত মান ঠিক রেখেই কিছুটা ছাড় দিয়ে এই সময় বেশি বিক্রি নিশ্চিত করতে চায়। অতএব কোয়ালিটি নিয়ে চিন্তা থাকছে না। তাই ইচ্ছে মতো কেনাকাটা করুন সেলের বাজারে।